ফুল পছন্দ করে না
এমন মানুষ খুজে পাওয়া যাবেনা। আর উৎসবের দিনে ড্রইংরুমের ফুলদানীতে সুন্দরভাবে সাজানো কিছু ফুল যেমন সাজসজ্জাকে বহুগুনে বাড়িয়ে দেয় তেমনি তা হয়ে উঠে ঘরের মানুষের রুচির পরিচায়ক। কিন্তু ফুলদানীতে ফুল সাজিয়ে তার কিছু সহজ যত্ন না নিলে তা হবে বোকামী। কারণ দু-একদিনের মধ্যে ফুলের পাপড়ী ও পাতা শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে যাবে। তাই ফুল সাজানোর সাথে সাথে তা সংরক্ষণের কিছু সহজ পদ্ধতি জানা থাকলে আর বিব্রতকর পরিস্থিতির সামনে পড়তে হয় না, তাই না। কাজটি করার জন্য অতিরিক্ত অর্থেরও প্রয়োজন হয় না। আবার খুব বেশি শ্রমও দিতে হয়
না। হাতের কাছের কিছু সস্তা দ্রব্যাদি দিয়েই সহজে তা করা যায়।
তাহলে জেনে নেই সেগুলো কি?
পরিষ্কার পানিঃ ফুলদানীতে ফুল সংরক্ষণের প্রথম শর্ত হচ্ছে পরিষ্কার পানি। সম্ভব হলে প্রতিদিন না হলে অন্তত একদিন পরপর পানি পরিষ্কার করে দিতে হবে তাহলে ফুল দীর্ঘদিন সতেজ থাকবে।
চিনিঃ ফুলদানীর পানিতে একচামচ চিনি মিশিয়ে দিলে ফুল ৫-৭ দিন সতেজ থাকে।
মাউথ ওয়াশঃ এককাপ পরিমান মাউথ ওয়াশ ফুলদানীর পানিতে মিশিয়ে দিন। দেখুন আপনার ফুলগুলো এক সপ্তাহ পর্যন্ত সতেজ আছে। ফুলের কলিগুলো ৩ থেকে ৪ দিন পর ফুটতে শুরু করবে।
তামার মুদ্রাঃ পানিতে তামার মুদ্রা রেখে দিলে সেটি ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাধা দেয়। ফলে পানিও পরিষ্কার থাকে। ফুলদানীর পানিতে তামার পয়সা রেখে দিন। দেখবেন সাত দিনেও ফুল ঝরে পড়েনি।
এছাড়াও ১ চা চামচ ভিনেগার অথবা ব্লিচিং পাউডার বা ১টি এসপিরিন ট্যাবলেট পানিতে মিশিয়ে দিলে তা পানিতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে দেয় না। ফলে ফুল দীর্ঘদিন সতেজ থাকে।
আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপসঃ
(১) ফুলের ডাল বা পাতা সব
সময় ধারালো ছুরি দিয়ে একবারে কাটতে হবে। ভোঁতা ছুরি দিয়ে কাটলে ডাল ছেঁচে
যায় ফলে পানি থেকে ফুল পরিমাণমতো পুষ্টি নিতে পারে না। ফলে ফুল দ্রুত
শুকিয়ে যায়।
(২) ডাল বাঁকা/তেঁছরা করে কাটতে হবে। ফলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সংগ্রহে অধিক জায়গা পাবে। ফলে ফুল বেশি
দিন তাজা থাকবে।
(৩)
ফুলদানীতে ফুলের সাথে পাতা রাখতে চাইলে
খেয়াল রাখবেন পাতা যেন পানিতে ডুবে না থাকে। কারণ এতে পাতা দ্রুত পচে পানি নষ্ট করবে এবং দুর্গন্ধ ছড়াবে।
(৪) সরাসরি ফ্যানের বাতাস লাগে বা সূর্যের আলো পড়ে
এমন জায়গাতে ফুল রাখলে সেগুলে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে। এদিকে সর্তক দৃষ্টি রাখতে হবে।
ভালো থাকবেন সবাই।
ভালো থাকবেন সবাই।